Friday, May 15, 2020

২০১ গম্বুজ মসজিদ,টাঙ্গাইল।

২০১ গম্বুজ মসজিদ
      ছবিঃ সারোয়ার সানি   


পৃথিবীর সর্বাধিক সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ২০১ গম্বুজ মসজিদ।এটি  বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের ঝিনাই নদীর তীরে অবস্থিত।

২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে  এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।প্রাথমিক ভাবে ১৫ কোটি টাকা দিয়ে কাজ শুরু হলেও এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।১৫ বিঘা জমির উপর নির্মিত এই মসজিদে একসাথে ১৫০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।

দ্বিতল এই মসজিদটি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থে ১৪৪ ফুট।ছাদের ঠিক মাঝখানে মূল গম্বুজটি অবস্থিত,উচ্চতায় ৮১ ফুট।মূল গম্বুজের  চারপাশে রয়েছে ১৭ ফুট উচ্চতার ২০০ টি গম্বুজ।মসজিদের চারকোণায় ১০১ ফুট উঁচু ৪ টি মিনার ও তার পাশাপাশি ৮১ ফুট উঁচু আরো চারটি মিনার স্থাপিত হয়েছে।

মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত ভাবে আমদানীকৃত টাইলস ও বাহারী ডিজাইনের সজ্জা সামগ্রী। মসজিদের দেয়ালে অংকিত হবে পবিত্র কুরআন শরীফ।মসজিদের মূল গেটটি তৈরী হচ্ছে ৫০ মণ  পিতল দিয়ে।

মসজিদের মূল মিনারটি নির্মাণাধীন, এটির উচ্চতা ৪৫১ ফুট।মসজিদের পাশে নির্মাণাধীন অবস্থায় মসজিদ কমপ্লেক্স। এখানে লাশ রাখার হিমাগার,দুস্থদের জন্য হাসপাতাল,এতিমখানা,বৃদ্ধাশ্রম ও মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যাওয়ার উপায়ঃ
২০১ গম্বুজ মসজিদ যেতে হলে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেলা সদরে আসতে হবে। টাঙ্গাইল থেকে বাসে অথবা সিএনজিতে করে গোপালপুর উপজেলায় আসতে হবে।এরপর অটো বা সিএনজিতে সহজেই ২০১ গম্বুজ মসজিদে যাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়:
ঢাকার মহাখালি বাস স্ট্যান্ড “দ্রুতগামী” বাসে করে টাকা ভাড়ায় গোপালপুর যেতে হবে।ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা। গোপালপুর থেকে ২০-৩০ টাকা ভাড়ায়  ইজিবাইক/ভ্যানে যেতে পারবেন ২০১ গম্বুজ মসজিদে।

খাবার ব্যবস্থাঃ
গোপালপুর বাজারে কিছু সাধারন মানের  হোটেল আছে,সেখানে দুপুরের খাবার সেরে নিয়ে মসজিদ দেখতে যেতে পারেন।এছাড়া 
মসজিদটির সামনে কিছু ছোট বড় খাবার হোটেল আছে।তবে সেখানকার খাবার তেমন ভালো না।


থাকার ব্যবস্থাঃ
টাঙ্গাইল শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল আছে।বাজেট অনুযায়ী  এখানে পছন্দমতো হোটেলে থাকার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।



Monday, May 11, 2020

সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট (Sabah Garden Resort)


সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট

গাজীপুরকে রিসোর্টের শহর বললেও ভুল হবে না।কেননা এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য রিসোর্ট,শুটিং স্পট ও বাগানবাড়ি।ঢাকার পার্শবর্তী গাজীপুর জেলায় এমন কিছু রিসোর্ট গড়ে উঠেছে যা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।কিছু কিছু রিসোর্ট খুবই বিলাসবহুল আবার কিছু কিছু রিসোর্ট প্রকৃতির নিবিড়তায় ঘেরা।প্রকৃতির সান্নিধ্যে হারিয়ে যেতে চাইলে ঘুরে আসতে হবে গাজীপুরের সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট ( Sabah Garden Resort) থেকে।গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় ৩৬ বিঘা জমির উপর নির্মিত হয়েছে সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট।


সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক জনাব হাসান উদ্দিন সরকার।তার মতে – প্রকৃতির সঙ্গে বিনোদন, বই নিয়ে ব্যস্ত থাকার চিন্তার ফসল এটি। 
পুরো রিসোর্ট জুড়েই রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিদের মূল্যবান বাণী। এই রিসোর্টে আছে একটি লাইব্রেরি,সেখানে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন লেখকের লেখা সব বই।এই রিসোর্টে বেশ কয়েকটি কটেজ রয়েছে।লালন কটেজটি   একটু ভিন্নরকম,  এই কটেজের সামনে লালনের প্রতিকৃতি ও তার বাণী দেওয়া আছে।
মা-বাবা গ্রন্থাগার  

সাবাহ গার্ডেনে বিভিন্ন আকৃতির ছয়টি পুকুর রয়েছে।এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি।পুরো রিসোর্ট জুড়েই রয়েছে নানা প্রজাতির মূলবান বনজ,ফলজ ও ও ঔষুধি গাছ।

সাবাহ গার্ডেনে প্রায়ই পিকনিক ও  বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়।পিকনিক বা অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া সাধারণত ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এখানে নিজস্ব ডেকোরেটর ব্যবস্থাও আছে। 

এছাড়া পরিবার পরিজন নিয়ে এলে ১০০ টাকা জনপ্রতি ফি দিয়েও পুরো রিসোর্ট ঘুরে দেখা যায়।
লালন কটেজ 

পিকনিক স্পট বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ
01672459312,01779756504

আরো জানতে ভিজিট করুন তাদের ফেসবুক পেজেঃ Sabah Garden Resort

সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট যাওয়ার উপায়: গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাসে বা লেগুনায় ২০ টাকা ভাড়ায় বাঘের বাজার। বাঘের বাজার নেমে জনপ্রতি ১০ টাকায় রিক্সাযোগে সাবাহ গার্ডেন যাওয়া যায়।


কিছু ছবিঃ 

অবকাশ ছাউনি  

পুকুরপাড় 

মনিষীদের বাণী সম্বলিত ফলক  






Saturday, May 9, 2020

সফিপুর আনসার একাডেমি,গাজীপুর।

আনসার একাডেমি লেক 
স্থান পরিচিতিঃ

ফিপুর আনসার একাডেমি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্ববৃহৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।এটি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন সফিপুরে অবস্থিত।জেলা সদর থেকে এর দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। গাজীপুর সহ বাংলাদেশের শূটিং এবং পিকনিক স্পটগুলোর মধ্যে অন্যতম এক স্পট সফিপুর আনসার একাডেমি। 

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছে বিশাল বড় প্যারেড গ্রাউন্ড,দরবার হল,অফিসার্স মেস,সৈনিকদের জন্য সুবিশাল ব্যারাক।দৃষ্টি নন্দন খেলার মাঠে নিয়মিত অনুশীলন হয় ফুটবল,ক্রিকেট সহ নানা খেলা।আছে ইনডোর গেমসের ও ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে কুটির শিল্প,মৃৎ শিল্প। আনসার বাহিনীর সদস্যদের নামাজের জন্য দৃষ্টিনন্দন একটা মসজিদ রয়েছে,রয়েছে সুবিশাল হাসপাতাল, ব্যাংক ও ডাকঘর। গাজীপুর জেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ ভাষা শহীদ আব্দুল  জব্বার আনসার একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অবস্থানও এখানেই।
ছবিঃ সারোয়ার সানি


সফিপুর আনসার একাডেমি গাজীপুরের অন্যতম পুরনো শূটিং ও পিকনিক স্পট। এখানকার প্রাকৃতিক ও পরিছন্ন পরিপাটি পরিবেশ যে কারো মন ভালো করে দেয়।বনভোজনের জন্য আদর্শ স্থান এটি।আনসার একাডেমীতে ভিআইপিদের জন্য একটি স্পট সহ মোট ২৭টি পিকনিক স্পট রয়েছে।

ছবিঃ সারোয়ার সানি  


আনসার একাডেমির স্পট সূমহের নাম ও  ভাড়ার তালিকা:

* লেকভিউ- স্পট ফি-৩০০০০/-
ধারণ ক্ষমতা ৩০০ জন। 

এলিফ্যান্ট গ্রাউন্ড ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ১০০০০/-

* তপোবন,হাসনাহেনা,মালঞ্চ,ছায়ানীড়,আনন্দ-
স্পট ফি-১২০০০/-
ধারণ ক্ষমতা-৩০০ জন।


** নিরিবিলি,বর্ণালী,অনন্যা,শাপলা,বান্দরবান,পল্লব,সৌখিন,বনশ্রী,তরুলতা,অনামিকা,বনরুপা,
,অবসর,তনুশ্রী,সূচনা,তারাঘর,বর্ষা,মধুবন,অনন্যা,বনলতা,তেতুলিয়া-
স্পট ফি-৮০০০/-
ধারণ ক্ষমতা-২০০ জন।

সেবা সূমহঃ


এখানে রয়েছে সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।গাড়ি পার্কিং,অবকাশ ছাউনি, টয়লেট এবং পানির সু-ব্যবস্থা।সকল স্পটে পোষাক পরিবর্তনের জন্য রুম সুবিধা।অর্ডার মাফিক খাবারের সু-ব্যবস্থা।


বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দফতর খিলগাঁও,ঢাকা থেকে অনুমতি সাপেক্ষে সারা বছরই এই স্পটগুলো ব্যবহার করা যায়। স্পট ভাড়া নিতে হলে আপনাকে প্রথমে নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার জমা দিয়ে ফরমে আবেদন করতে হবে।আনসার ভিডিপির ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে আবেদন করতে পারেন।
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আনসার ও ভিডিপির নিজেস্ব  ওয়েবসাইট http://ansarvdp.gov.bd

এছাড়া বছরের একটি দিন সফিপুর আনসার একাডেমি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।সেটি হলো পহেলা বৈশাখ এর দিন।এই দিনে টিকেটের মাধ্যমে জনগন ঢুকতে পারে। টিকেট ফি ধরা হয় ৫০/- টাকা।

কিছু ছবিঃ 
কুটির শিল্প প্রদর্শনী 
কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ 


প্যারেড গ্রাউন্ড সংলগ্ন  

সবুজ লেক


যাওয়ার উপায়:

রুট-১ঃ
ঢাকা সদরঘাট থেকে আজমেরি বা প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনে করে ৭০ টাকা ভাড়ায় সফিপুর আনসার একাডেমিতে আসা যায়।

রুট-২ঃ



গাজীপুর বাস টার্মিনাল বা চৌরাস্তা থেকে কালিয়াকৈর/পলাশ/নিরাপদ পরিবহনে করে ২০ টাকা ভাড়ায় সফিপুর আনসার একাডেমিতে আসতে পারবেন।








Wednesday, May 6, 2020

গোলাপ গ্রাম (Rose Village),সাদুল্লাপুর।

গোলাপ গ্রাম (Rose Village)

যান্ত্রিক শহুরে জীবনে কর্মব্যস্ততায় যখন আমরা হাপিয়ে উঠি তখন একটু বিশ্রামের জন্য বা শারীরিক ক্লান্তি কিংবা মানসিক অবসাদ দূর করতে আমরা ঘুরতে যাই।   তবে ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে খরচ ও সময় বের করাটাই হয়ে ওঠে প্রধানতম চিন্তার বিষয়। ঢাকার আশেপাশে কম সময়ে ও অল্প টাকায় ঘোরার অনেক জায়গা আছে।তারমধ্যে খুব সুন্দর আর মন ভালো করে দেয়ার মতো একটি জায়গা হলো গোলাপ গ্রাম (Golap Gram, Sadullahpur)।
ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুরে গোলাপ গ্রামে অবস্থিত। তুরাগ তীরবর্তী গোলাপ গ্রামে গেলে আপনার যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি ও ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
পুরোটা গ্রামটাই যেন গোলাপের বাগান! উঁচু জমিগুলো ছেয়ে আছে মিরান্ডি জাতের গোলাপে। লাল, হলুদ, সাদা—কত বর্ণের যে গোলাপ তার কোনো ইয়ত্তা নেই। যতদূর যাবেন চোখে পড়বে শুধু গোলাপ আর গোলাপ। সকালের শিশির ভেজা গোলাপে নরম আলোর ঝিকিমিকি। গ্রামের বুক চিরে চলে গেছে আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু সরু পথ। তার দু’পাশে বিস্তীর্ণ গোলাপের বাগান।


 গোলাপের সৌরভ পুরো গ্রাম জুড়েই।এখানের যেকোনো বাগান থেকে কথা বলে আপনি গোলাপ কিনেতে পারবেন।

সাহদুল্লাহপুর পুরো গ্রামটাই নানা রঙের গোলাপ ফুল দিয়ে ঘেরা। গোলাপ গ্রাম বলা হলেও এখানে গোলাপ ছাড়াও অনেক ফুল চাষ হয়, যেমন- জারভারা, গ্লাডিওলাস। ঢাকার বেশি ভাগ ফুল চাহিদা এখান থেকে মেটানো হয়। শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন ফুলের বাজারগুলোতে গোলাপের প্রধান যোগান দেন এখানকার চাষিরা।স্থানীয় ফুল চাষিরা নিজেদের প্রয়োজনে এ গ্রামেই গড়ে তুলেছেন হাট। শ্যামপুর গ্রামে প্রতি সন্ধ্যায় বসে গোলাপের হাট। সেখানকার আবুল কাশেম মার্কেটের সামনে সন্ধ্যায়ই শুরু হয় ফুল ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী এসে ভিড় জমান সেখানে। জমতে থাকে
বেচাকেনা। চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এ ছাড়া মোস্তাপাড়ায় রয়েছে সাবু মার্কেট। এ মার্কেটেও গোলাপ বেচা কেনা হয়। গোলাপের চাহিদা থাকে সব সময়। তাই চাষিরাও সারা বছরই ব্যস্ত থাকেন। বিশেষ উৎসবের দিনগুলোতে চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ।



গোলাপ গ্রাম যাওয়ার উপায়ঃ
গোলাপ গ্রাম বা সাদুল্লাহপুর যাওয়ার জন্য কয়েকটা রুট আছে। তবে সব থেকে সহজ রাস্তা বিরুলিয়া ব্রিজ এর রোড। কারণ এই পথে দারুণ সব গোলাপের ক্ষেত। রাস্তার দুপাশ জুড়েই চোখে পড়বে গোলাপের অনেক ক্ষেত।


রুট -১
যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, ফার্মগেট হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধে যাওয়ার বাস সার্ভিস আছে। এ ছাড়া মিরপুর এক নম্বর সেকশন অথবা মিরপুর-১০ কিংবা গাবতলী থেকে রিকশায় সহজেই যাওয়া যায় দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট।
তারপর এখান থেকে শ্যালো ইঞ্জিনের নৌকা ১০ মিনিট পরপর ছেড়ে যায় সাদুল্লাপুরের দিকে। স্পিডবোট, কোষা নৌকা, শ্যালো নৌকা চুক্তিতে ভাড়া নিয়েও যাওয়া যায় সাদুল্লাপুর। সে ক্ষেত্রে শুধু যেতে কোষা নৌকার ভাড়া ৩০০ টাকা, শ্যালো নৌকা ২৫০ টাকা, স্পিডবোট ৫০০ টাকা। হেঁটেই পুরো সাদুল্লাপুর চক্কর দেওয়া যায়।

রুট -২
টঙ্গি ষ্টেশন থেকে কামারপাড়া হয়ে সি এন জি রিজার্ভ নিয়ে বিরুলিয়া ব্রিজ। ভাড়া ২০০ টাকা। বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে অটোতে ১০ টাকা ভাড়ায় আরকান বাজার, সেখান থেকে অটোতে ১০ টাকায় সাদুল্লাহপুর বা সরাসরি ২০ টাকায় বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে সাদুল্লাহপুর।

রুট -৩
উত্তরা হাউজ বিল্ডিং, নর্থ টাওয়ার বা মাসকট প্লাজা থেকে সোনারগাঁ জনপথ ধরে লেগুনাতে দিয়াবাড়ি, তারপর একটু হেটে মেইনরোড, লোকাল গাড়িতে উঠে বিরুলিয়া ব্রিজ। হেঁটেও যেতে পারবেন। বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে অটোতে ১০ টাকা ভাড়ায় আরকান বাজার, সেখান থেকে অটোতে ১০ টাকায় সাদুল্লাহপুর বা সরাসরি ২০ টাকায় বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে সাদুল্লাহপুর।

এখান থেকে নৌকা রিজার্ভ নিয়ে সরাসরি সাদুল্লাহপুর। রিজার্ভ ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকার মত। ২৫ জনের মত বসা যায়।
নৌকা চলাচল ৬ টার পরে বন্ধ হয়ে যায়।

কোথায় খাবেনঃ 
সাদুল্লাপুর ঘাটের কাছে হোটেল আছে। সাহদুল্লাপুর ঘাটে পৌঁছানোর পর ঘাটের বট গাছের নিচে বসে চা-নাস্তা করে নিতে পারেন। দল বেঁধে গেলে হোটেলের লোকদের আগেই রান্না করার কথা বলতে হবে।এছাড়া আকরান বাজারে কিছু স্থানীয় হোটেল আছে সেখানেও খাবারের সু-ব্যবস্থা আছে।

Tuesday, February 18, 2020

বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি ( Birulia Jamidar Bari ) , হারিয়ে যাওয়া এক ইতিহাস।

বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি 

পরিচিতিঃ
বিরুলিয়া,তুরাগ নদীর তীরবর্তী ছোট্ট একটি গ্রাম।বর্ষায় এই গ্রামের চারপাশ জুড়ে থাকে অথৈ জল,তখন বিরুলিয়াকে মনে হয় যেন এক রহস্যময় দ্বীপ আর শীতকালে যখন পানি শুকিয়ে যায় তখন চারিদিকে সবুজে সবুজে ভরে যায়।

ওপারেই বিরুলিয়া গ্রাম
    ছবিঃ সারোয়ার সানি 
জমিদার বাড়ির ইতিহাসঃ
ঢাকা শহরের খুব নিকটেই এই বিরুলিয়া গ্রাম। এই গ্রামে রয়েছে ১০ টির ও অধিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। বিরুলিয়া গ্রামের শেষ প্রান্তে আছে জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের বাড়ি, যা বর্তমানে বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি  নামে পরিচিত।
জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের বাড়ি
ছবিঃসারোয়ার সানি 

স্থানীয়দের তথ্য মতে,রজনীকান্ত ঘোষ ৮৯৬০ টাকা ৪ আনি অর্থের বিনিময়ে জমিদার নলিনী মোহন সাহার কাছ থেকে এই বাড়িটি কিনে নেন। পুরানো ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের কয়েকটি বাড়ি থাকলেও এখন প্রায় সবগুলোই দখল হয়ে গেছে।১৯৬৪ সালে দাঙ্গার সময় মূল্যবান সব জিনস লুটপাট হওয়ার পর বিরুলিয়া গ্রামের জমিদার বাড়িটি ছাড়া রজনীকান্তের আর কোনো সম্পত্তি অবশিষ্ট নেই। বিরুলিয়ার অন্যসব পুরোনো বাড়িগুলো পরবর্তী সময়ে একজন ব্যবসায়ী কিনে নিলেও এখন সেগুলোও বেদখল হয়ে গেছে।
পুরনো বাড়ির সিড়িতে বসে
ছবিটি তুলেছেনঃ তানজিলা নিপা

জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের এই বাড়িতে বর্তমানে রজনীকান্ত ঘোষের বংশধরগণ বসবাস করছেন। জমিদার বাড়ির সদরঘর, বিশ্রামঘর, বিচারঘর, পেয়াদাঘর এবং ঘোড়াশালাগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ঢাকা থেকে খুব কাছের এই গ্রামটির বেশিরভাগ অধিবাসীই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ইতিহাসের সাক্ষী কিংবা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখতে অনেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেলেও বিরুলিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও জমিদার বাড়ি লোকচক্ষুর অন্তরালেই রয়ে গেছে। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়বে ছড়ানো ছিটানো কালের সাক্ষী এসব স্থাপনা এখনও দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণ শরীর নিয়ে।

কিছু ছবিঃ 
ছবিঃসারোয়ার সানি 

ছবিঃসারোয়ার সানি 

ছবিঃসারোয়ার সানি 

ছবিঃসারোয়ার সানি 

যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় খুব সহজেই বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি যেতে পারবেন। 

রুট-১ঃ
মিরপুর ১ থেকে আলিফ কিংবা মোহনা বাসে উঠে সরাসরি বিরুলিয়া ব্রিজ। তারপর স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করে বিরুলিয়া গ্রাম ও জমিদারবাড়ি। ভাড়া আনুমানবিক ২৫ টাকা। বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে হেটেই জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়। 
রুট-২ঃ আব্দুল্লাহপুর/বাইপাইল/আশুলিয়া থেকে প্রথমে বেরিবাধ আসতে হবে। তারপরে মিরপুর ১ গামী যেকোন গাড়িতে উঠে বিরুলিয়া ব্রিজ।ভাড়া ২৫ টাকা।।
রুট-৩ঃ সাভার বাসস্ট্যান্ড এ অন্ধমার্কেটের সামনে থেকে লেগুনায় সরাসরি বিরুলিয়া ব্রিজ।
রুট-৪ঃ কোনাবাড়ি কাশিমপুর হতে কিরনমালা পরিবহনে চড়ে বিরুলিয়া ব্রিজ,সেখান থেকে জমিদার বাড়ি।।ভাড়া-৩৫-৪০/-। 

বিরুলিয়া ব্রিজ থেকে হেটেই জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।যে কাউকে বললেই দেখিয়ে দিবে।